ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করার পর ধর্ষণের অভিযোগে মো. রাজু (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান।
এ দিকে, বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃত মো. রাজু জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভাবনাগঞ্জ একতিয়ারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ছেলে। সম্পর্কে ধর্ষক রাজু ওই মেয়েটির চাচা হয় বলে জানা যায়।
ভিকটিমের পরিবারের বরাতে ওসি আশিকুর রহমান দৈনিক অধিকারকে বলেন, প্রায় সময় পীরগঞ্জের রাজু সদর উপজেলার পশ্চিম বেগুনবাড়ি গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করত। এভাবেই রাজু ওই মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে তোলে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে ভিকটিম বাড়ির পাশের বালাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে রাজু ওই স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের ভিকটিমের দাদি রেজিয়া বেগমের অসুস্থতার কথা বলে ভিকটিমকে স্কুল থেকে রাস্তায় এনে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে দিনাজপুর জেলার বোঁচাগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক দিনভর ধর্ষণ করার পর ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায় রাজু।
পরে পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিয়ে স্কুলছাত্রীকে না পেলে থানার শরণাপন্ন হয়। এরপর পুলিশ বোঁচাগঞ্জ থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং বেগুনবাড়ি থেকে ধর্ষক রাজুকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে বুধবার সন্ধ্যায় জানান সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান।
স্কুলছাত্রীর বাবা ধর্ষকের কঠোর শাস্তি দাবি করে বলেন, রাজু আমার নাবালিকা মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে স্কুল থেকে অপহরণ করার পর ধর্ষণ করেছে। আমি চাই আমার মেয়ের মতো অন্য কোনো মেয়ের বাবাও যেন এমন লম্পটের লালসার শিকার না হয়।